সালোয়ার ও শিক্ষিকা...
শাড়ি কি শালীন পোশাক? না কি সালোয়ার-কামিজ?🤔
ধুতি- পাঞ্জাবি শালীন? না কি শুট-প্যান্ট বা জিনস?😏
আসলে এগুলো একেবারেই অবান্তর আলোচনা। এর চেয়ে হাঁসের পালক দিয়ে কান পালিশ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ।😜
নগ্নতা নিয়ে মধ্যযুগীয় (ভারতে মধ্যযুগটা যে কী বিরক্তিকররকমের দীর্ঘায়িত! সুমিত সরকার কেন যে ফালতু 'আধুনিক ভারত'এর ইতিহাস লিখে সময় নষ্ট করতে গেলেন, কে জানে!😪) বদ্ধমূল ধারণা থেকে এই ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়।
একটা সোজা সত্যি কথা বলে ফেলা যাক। আদতে ‘সংস্কৃতি বিলাসী’রাই শালীনতা-অশালীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কৃষক-শ্রমিকের সংস্কৃতি কিন্তু এই প্রশ্ন তোলে না, যদি না তারা মধ্যবিত্ত মানসিকতার লোকজনের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
আমরা খাটাখাটনি করি বটে, কিন্তু আমরা মনের দিক থেকে শ্রমিক নই। আমাদের চিন্তা চেতনা মূল্যবোধের বেশিরভাগটাই, যাকে ‘বুর্জোয়া সংস্কৃতি’ বলে, আমি যাকে ‘বিলাসী সংস্কৃতি’ বলছি (বুর্জোয়া শব্দটা এড়ানোর জন্য), তার দ্বারা আচ্ছন্ন। এই শ্রেণীটাই শালীনতা-অশালীনতা নিয়ে চর্চা করে। এই চর্চার মধ্যে একটা ঈর্ষা আছে। অনুচ্চারিত মনের কথাটা হলঃ ওই মেয়েটার যে পোশাক আমাকে প্রলুব্ধ করছে, সেই পোশাকে অন্যেরা কেন তাকে দেখবে? সে যদি কেবল আমার সামনে বেআব্রু হয়, তা হলে তা ‘প্রগতিশীলতা’। কিন্তু সবার সামনে হলে ‘অশ্লীলতা’।
তা হলে মেয়েরা মেয়েদের পোশাক নিয়ে ছুত্মার্গ দেখায় কেন? শালীনতার প্রশ্ন তোলে কেন? ওটা প্রভাব। পুরুষতন্ত্রের প্রভাব। মেয়েরাও পুরুষতন্ত্রের দ্বারা চালিত হয়। পুরুষতন্ত্রের প্রেক্ষিতে, মোদীর ভাষাতেই এক সময় কথা বলতেন ইন্দিরা গান্ধী। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সঙ্গেও বিন্দুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গিগত তফাৎ নেই মমতার।
শালীনতা নিয়ে যে এত প্রশ্ন, তার আর একটা সোজা কারণ আছে। ‘নেই কাজ তো খই ভাজ’। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অবসর আছে। বিপ্লবী থেকে প্রতিবিপ্লবী সব ধরনের সংস্কৃতি নিয়ে তারা চর্চা করে। কিন্তু মূলত তারা প্রতিনিধিত্ব করে ‘বুর্জোয়া সংস্কৃতি’র। সেই জন্য তারা সুখ-দুঃখ, প্রেম-অপ্রেম, নিরাপত্তা-বিপন্নতা, এলআইসি-এমআইএস, সুদের হার-পিএফ, অ্যান্ড্রয়েড-জিপিএস ইত্যাদি নিয়ে আলোচনায় কালক্ষেপ করে। করতে পারে।
মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে পাথর খাদান বা ইটভাটার শ্রমিক, মাঠের কৃষক কিংবা বনবাসী মানুষের মধ্যে এই তর্ক ওঠে না।
যাক। এখানেও সেই জ্ঞানদা জ্ঞানদা ব্যাপার হয়ে গেল...😜
ধুতি- পাঞ্জাবি শালীন? না কি শুট-প্যান্ট বা জিনস?😏
আসলে এগুলো একেবারেই অবান্তর আলোচনা। এর চেয়ে হাঁসের পালক দিয়ে কান পালিশ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ।😜
নগ্নতা নিয়ে মধ্যযুগীয় (ভারতে মধ্যযুগটা যে কী বিরক্তিকররকমের দীর্ঘায়িত! সুমিত সরকার কেন যে ফালতু 'আধুনিক ভারত'এর ইতিহাস লিখে সময় নষ্ট করতে গেলেন, কে জানে!😪) বদ্ধমূল ধারণা থেকে এই ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়।
একটা সোজা সত্যি কথা বলে ফেলা যাক। আদতে ‘সংস্কৃতি বিলাসী’রাই শালীনতা-অশালীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কৃষক-শ্রমিকের সংস্কৃতি কিন্তু এই প্রশ্ন তোলে না, যদি না তারা মধ্যবিত্ত মানসিকতার লোকজনের দ্বারা প্রভাবিত হয়।
আমরা খাটাখাটনি করি বটে, কিন্তু আমরা মনের দিক থেকে শ্রমিক নই। আমাদের চিন্তা চেতনা মূল্যবোধের বেশিরভাগটাই, যাকে ‘বুর্জোয়া সংস্কৃতি’ বলে, আমি যাকে ‘বিলাসী সংস্কৃতি’ বলছি (বুর্জোয়া শব্দটা এড়ানোর জন্য), তার দ্বারা আচ্ছন্ন। এই শ্রেণীটাই শালীনতা-অশালীনতা নিয়ে চর্চা করে। এই চর্চার মধ্যে একটা ঈর্ষা আছে। অনুচ্চারিত মনের কথাটা হলঃ ওই মেয়েটার যে পোশাক আমাকে প্রলুব্ধ করছে, সেই পোশাকে অন্যেরা কেন তাকে দেখবে? সে যদি কেবল আমার সামনে বেআব্রু হয়, তা হলে তা ‘প্রগতিশীলতা’। কিন্তু সবার সামনে হলে ‘অশ্লীলতা’।
তা হলে মেয়েরা মেয়েদের পোশাক নিয়ে ছুত্মার্গ দেখায় কেন? শালীনতার প্রশ্ন তোলে কেন? ওটা প্রভাব। পুরুষতন্ত্রের প্রভাব। মেয়েরাও পুরুষতন্ত্রের দ্বারা চালিত হয়। পুরুষতন্ত্রের প্রেক্ষিতে, মোদীর ভাষাতেই এক সময় কথা বলতেন ইন্দিরা গান্ধী। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সঙ্গেও বিন্দুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গিগত তফাৎ নেই মমতার।
শালীনতা নিয়ে যে এত প্রশ্ন, তার আর একটা সোজা কারণ আছে। ‘নেই কাজ তো খই ভাজ’। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অবসর আছে। বিপ্লবী থেকে প্রতিবিপ্লবী সব ধরনের সংস্কৃতি নিয়ে তারা চর্চা করে। কিন্তু মূলত তারা প্রতিনিধিত্ব করে ‘বুর্জোয়া সংস্কৃতি’র। সেই জন্য তারা সুখ-দুঃখ, প্রেম-অপ্রেম, নিরাপত্তা-বিপন্নতা, এলআইসি-এমআইএস, সুদের হার-পিএফ, অ্যান্ড্রয়েড-জিপিএস ইত্যাদি নিয়ে আলোচনায় কালক্ষেপ করে। করতে পারে।
মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে পাথর খাদান বা ইটভাটার শ্রমিক, মাঠের কৃষক কিংবা বনবাসী মানুষের মধ্যে এই তর্ক ওঠে না।
যাক। এখানেও সেই জ্ঞানদা জ্ঞানদা ব্যাপার হয়ে গেল...😜
২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
No comments:
Post a Comment