৬ ডিসেম্বর...
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকারি সাপ্তাহিক অর্গানাইজার’এ একবার দাবি করা হয়েছিল, ‘‘সমস্ত মুসলমান রাম’কে তাঁদের বীর নায়ক বলে মেনে নিন। সমস্ত সাম্প্রদায়িক সমস্যা মিটে যাবে।’’
মুসলমান’দের কথা ছেড়ে দিন, এই দাবি হিন্দুরাই বা কেন মেনে নেবেন, তার কোনও জবাব নেই। একটা কাল্পনিক চরিত্র’কে মান্যতা দেওয়া বা না দেওয়ার উপর কেন দেশের যাবতীয় সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান কেন্দ্রীভূত হবে, তারও কোনও ব্যাখ্যা মেলে না। অথচ গেরুয়া শিবিরের সবচেয়ে সংগঠিত অংশের অন্যতম প্রধান দাবি এটাই।
অযোধ্যায় তথাকথিত রাম জন্মভূমির অস্তিত্বের দাবি, তা-ও তো নিছক কল্পনাই। তবু তা-ই নিয়ে কেমন প্রাচীন সৌধ বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হল।
১৯২৫-এ আরএসএস-এর জন্ম। জন্মদিন হিসেবে হেডগেওয়ার বেছে নিয়েছিলেন ‘বিজয়া দশমী’র দিনটাকে। কারণ, রাম নাকি ঐ দিনেই রাবণ’কে পরাজিত করেছিল। রামের জন্ম দিন বলে খ্যাত ‘রামনবমী’তেই খুব সম্ভবত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা বজরং দলের প্রতিষ্ঠা হয়। ‘গেরুয়া পতাকা’টাও রামের বলে দাবি করা হয়। ভিএইচপি, বজরং দল, বিজেপি সকলেই আরএসএস’কেই তাদের ভিত্তি হিসেবে ধরে। রাম’মণ্ডিত আরএসএস, পৌরাণিক গালগল্প যাদের ভিত্তি, উগ্র হিন্দু রাষ্ট্র ভবিষ্যৎ!
এদের লক্ষ্য হিন্দু রাষ্ট্র। যেখানে হিন্দু ও হিন্দুত্বের অনুগত ভক্ত ছাড়া আর কেউ থাকবে না। হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এরা গোটা জনগোষ্ঠীর ওপর অদ্ভুত, অবাস্তব, অমানবিক ও অযৌক্তিক ধ্যান ধারণা, দর্শন, রীতিনীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
রামের মতো গোরু’কেও মা বলে মানতে হবে। নরহত্যা পর্যন্ত চলতে পারে, কিন্তু গোহত্যা কিছুতেই নয়। হিন্দু মুসলমানের বিয়ে হবে না। মানতে হবে, পদ্মাবতী উপাখ্যান ঐতিহাসিক, হিন্দুর সব আচারবিচার আগমার্কা বৈজ্ঞানিক। বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার মুনিঋষিদের। সব মসজিদের তলায় একটা করে মন্দির ছিল, আছেও। খুঁড়লেই পাওয়া যাবে। রজস্বলা মেয়ে এবং নিচু জাতের লোকজন মন্দিরে প্রবেশ করতে পারে না। কারণ তাতে মন্দির অপবিত্র হয়। হিন্দুত্ব বিরোধীরা সব হয় দেশদ্রোহী অথবা পশ্চিমি তথা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালাল ছাড়া কিছু নয়।
তবু যদি তারা এসব সততার সঙ্গে মানত! ভারত যে আমেরিকা ও ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গোমাংস রফতানি করে, গেরুয়া ব্রিগেডের নেতানেত্রীরা যে প্রতিদিন গোরুখেকো পশ্চিমি সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে গা ঘষাঘষি করেন, মুসলিম কৃষকদের ফলানো ফসলই যে নিত্যদিন অন্যদের সঙ্গে গেরুয়াবাজদেরও গিলতে হয়, এই সব বিষয় মেনে নিয়ে, তা পালটানোর চেষ্টা করত। তখন তাঁদের পাগল-ছাগল বললেও বলতে হত যে তারা সৎ।
এই কল্পনার ফানুস উড়িয়ে যারা দেশটাকে বেচে দিচ্ছে, মানুষকে আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে নিঃস্ব করে দিচ্ছে, আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলছে ডিজিট্যাল ফাঁসে, তাঁদের সমর্থনের কোনও যুক্তি তো নেইই, বরং সর্বস্ব পণ করে তাদের বিরুদ্ধে আজ লড়তে হবে।
মুসলমান’দের কথা ছেড়ে দিন, এই দাবি হিন্দুরাই বা কেন মেনে নেবেন, তার কোনও জবাব নেই। একটা কাল্পনিক চরিত্র’কে মান্যতা দেওয়া বা না দেওয়ার উপর কেন দেশের যাবতীয় সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান কেন্দ্রীভূত হবে, তারও কোনও ব্যাখ্যা মেলে না। অথচ গেরুয়া শিবিরের সবচেয়ে সংগঠিত অংশের অন্যতম প্রধান দাবি এটাই।
অযোধ্যায় তথাকথিত রাম জন্মভূমির অস্তিত্বের দাবি, তা-ও তো নিছক কল্পনাই। তবু তা-ই নিয়ে কেমন প্রাচীন সৌধ বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হল।
১৯২৫-এ আরএসএস-এর জন্ম। জন্মদিন হিসেবে হেডগেওয়ার বেছে নিয়েছিলেন ‘বিজয়া দশমী’র দিনটাকে। কারণ, রাম নাকি ঐ দিনেই রাবণ’কে পরাজিত করেছিল। রামের জন্ম দিন বলে খ্যাত ‘রামনবমী’তেই খুব সম্ভবত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা বজরং দলের প্রতিষ্ঠা হয়। ‘গেরুয়া পতাকা’টাও রামের বলে দাবি করা হয়। ভিএইচপি, বজরং দল, বিজেপি সকলেই আরএসএস’কেই তাদের ভিত্তি হিসেবে ধরে। রাম’মণ্ডিত আরএসএস, পৌরাণিক গালগল্প যাদের ভিত্তি, উগ্র হিন্দু রাষ্ট্র ভবিষ্যৎ!
এদের লক্ষ্য হিন্দু রাষ্ট্র। যেখানে হিন্দু ও হিন্দুত্বের অনুগত ভক্ত ছাড়া আর কেউ থাকবে না। হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এরা গোটা জনগোষ্ঠীর ওপর অদ্ভুত, অবাস্তব, অমানবিক ও অযৌক্তিক ধ্যান ধারণা, দর্শন, রীতিনীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
রামের মতো গোরু’কেও মা বলে মানতে হবে। নরহত্যা পর্যন্ত চলতে পারে, কিন্তু গোহত্যা কিছুতেই নয়। হিন্দু মুসলমানের বিয়ে হবে না। মানতে হবে, পদ্মাবতী উপাখ্যান ঐতিহাসিক, হিন্দুর সব আচারবিচার আগমার্কা বৈজ্ঞানিক। বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার মুনিঋষিদের। সব মসজিদের তলায় একটা করে মন্দির ছিল, আছেও। খুঁড়লেই পাওয়া যাবে। রজস্বলা মেয়ে এবং নিচু জাতের লোকজন মন্দিরে প্রবেশ করতে পারে না। কারণ তাতে মন্দির অপবিত্র হয়। হিন্দুত্ব বিরোধীরা সব হয় দেশদ্রোহী অথবা পশ্চিমি তথা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালাল ছাড়া কিছু নয়।
তবু যদি তারা এসব সততার সঙ্গে মানত! ভারত যে আমেরিকা ও ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গোমাংস রফতানি করে, গেরুয়া ব্রিগেডের নেতানেত্রীরা যে প্রতিদিন গোরুখেকো পশ্চিমি সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে গা ঘষাঘষি করেন, মুসলিম কৃষকদের ফলানো ফসলই যে নিত্যদিন অন্যদের সঙ্গে গেরুয়াবাজদেরও গিলতে হয়, এই সব বিষয় মেনে নিয়ে, তা পালটানোর চেষ্টা করত। তখন তাঁদের পাগল-ছাগল বললেও বলতে হত যে তারা সৎ।
এই কল্পনার ফানুস উড়িয়ে যারা দেশটাকে বেচে দিচ্ছে, মানুষকে আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে নিঃস্ব করে দিচ্ছে, আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলছে ডিজিট্যাল ফাঁসে, তাঁদের সমর্থনের কোনও যুক্তি তো নেইই, বরং সর্বস্ব পণ করে তাদের বিরুদ্ধে আজ লড়তে হবে।
No comments:
Post a Comment